Saturday 21 April 2012

শিশুর চরিত্র গঠনে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি



শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। কাজেই আদর্শ সমাজ ও উন্নত পরিবেশ গঠন করতে হলে শিশুরা কেমন করে উন্নত চরিত্র এবং অনুপম আদর্শের অধিকারী হতে পারে সে বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। কেননা শিশুদেরকে আদর্শবান করে গড়ে তুলতে না পারলে আদর্শ সমাজ বিনির্মান সম্ভব নয়। যদি কারো আখলাক-চরিত্র নষ্ট হয়ে যায় তবে এর কারনে সে নিজেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বরং এ ক্ষতির প্রভাব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ইত্যাদি সকল কিছু পরিব্যপ্ত হয়ে উপোরক্ত ক্ষেত্রসমূহে বিরাট অকল্যান ডেকে আনে। কাজেই শিশুর চরিত্র গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সদা সচেতন থাকা আবশ্যক। কুরআন ও হাদীসে শিশুদের চরিত্র গঠনের ব্যাপারে জোর তাগিদ রয়েছে। চরিত্র গঠন বলতে তাদের মধ্যে আখ্‌লাকে যমীমা তথা দুষ্ট চরিত্রের প্রতি ঘৃণার মনোভাব সৃষ্টি করা এবং আখ্‌লাকে হামীদা তথা উন্নত চরিত্র মাধুরীর দ্বারা তাদেরকে বিভূষিত করা বুঝায়। যেমনঃ অহংকার, মিথ্যা, ধোঁকাবাজী, গীবত, চোগলখোরী, মূর্খতা, উদাসীনতা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করা, কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পোষন করা ইত্যাদির প্রতি তাদের ঘৃণা সৃষ্টি করা। সাথে সাথে তাদের মাঝে আল্লাহ্‌, রাসূল, ফিরিশতা, আসমানী কিতাব, কুরআন, হাদীস ইত্যাদির প্রতি অগাধ বিশ্বাস সৃষ্টি করা এবং সততা, আমানতদারী, অঙ্গীকার পূরণ করা, দানশীলতা, পিতামাতার এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদাচার ইত্যাদি মহৎ গুণাবলী শিক্ষা দেওয়া।
রাসূলুল্লাহ্‌ (সা.) ইরশাদ করেনঃ
–কারো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে যেন তার জন্য একটি সুন্দর নাম রাখে এবং উত্তমরুপে তাকে আদব-কায়দা, শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়।–[ক]

এছাড়াও আরো বহু হাদীসে এ বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ বিদ্যমান রয়েছে।


ক. বুখারী ও মুসলিম, সূত্রঃ মিশকাত, পৃ.৪৫০

No comments:

Post a Comment